রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন, ছাড়লেন দেশ

দুই লাখ টাকার জন্য মা-মেয়েকে খুন করে ঘাতকরা

আমীর হোসেন (ডানে) ও মনির মিয়া (বামে)

নিজস্ব প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় মা ও তার আট বছরের মেয়েকে গলা কেটে হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। দুই লাখ টাকা ও সোনার বালা চুরি করতে গিয়ে তাদের হত্যা করেছেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন নিহতদের প্রতিবেশী আমীর হোসেন (৩০)।

শনিবার (২০ মার্চ) রাত ৮টায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ উল্ল্যা।

হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৬৪ ধারায় আমীর হোসেনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

বাহুবল মডেল থানা পুলিশ শুক্রবার (১৯ মার্চ) আমীর হোসেনকে গ্রেফতার করে। তিনি সিলেটের শাহপরান থানার চৌকিদিঘী এলাকার আলমগীর মিয়ার ছেলে।

তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মনির মিয়া নামে আরও একজনকে গ্রেফতার এবং একটি পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরা, মোবাইল ফোন ও কিছু টাকা জব্দ করা হয়েছে।

স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, বাহুবল উপজেলার দীগাম্বর বাজার এলাকার বাসিন্দা সঞ্জিত দাশ (৪৫) ও আমীর হোসেন পূর্ব পরিচিত।

প্রায় তিন মাস আগে সঞ্জিত দাশের মাধ্যমেই আমীর হোসেন পার্শ্ববর্তী বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন। কয়েকদিন আগে আমীর হোসেন সঞ্জিতের বাসায় এসে তিন হাজার টাকা ধার নেন এবং জানতে পারেন তাদের বাসায় আরও দুই লাখ টাকা এবং সোনার বালা রয়েছে।

গত ১৮ মার্চ সঞ্জিত তার স্ত্রী অঞ্জলী মালাকার (৩০) ও মেয়ে পূজা রাণী দাসকে (৮) বাসায় রেখে ব্যবসার জন্য সব্জি কিনতে সুনামগঞ্জ গিয়েছিলেন। ওইদিন মা-মেয়ে বাসায় একা থাকার সুযোগে আমীর তার আরও দুইজন সহযোগীকে নিয়ে টাকা চুরি করতে আসেন এবং এক পর্যায়ে মা ও মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করেন।

হত্যাকারীরা তাদের ব্যহৃত ছুরি একটি পুকুরে রেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে আমীর হোসেন নিজেই তার হাত কেটে অজ্ঞান হওয়ার ভান করে পড়ে থাকেন এবং মানুষকে বোঝাতে চান ডাকাতরা দুইজনকে হত্যা করেছেন। এরপর স্থানীয়রা তাকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

এসপি আরও জানান, পুলিশের সন্দেহ হলে আমীর হোসেনকে হাসপাতাল থেকেই আটক করা হয়। তার কথামতো মনিরকে গ্রেফতার করা হয়ে। আরেক আসামি পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

গত বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সকাল ৮টায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন নিহত অঞ্জলীর বাবা কার্তিক মালাকার বাদী হয়ে বাহুবল মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামি রেখে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com